4G LTE মোবাইল
শ্রীশান্তি
পদ চক্রবর্তী, FIE,
Ex- সুপারিনটেণ্ডিং
ইঞ্জিনিয়িয়ার (Elect), WBSEB
Introduction:-
মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তি যোগাযোগ ও মোবিলিটি যুক্ত করে যোগাযোগের বিপ্লব ঘটিয়েছে।
কম সময়ে অয়েরলেস access প্রযুক্তি 1G থেকে 4G তে উন্নিত ( evolution) হয়েছে। মোবাইলের
ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। বর্তমানে প্রায় 90 কোটি মোবাইল ফোন ভারতে ব্যবহার হচ্ছে।
প্রথম দিকে সেল ফোনে কথা বলা বা SMS পাঠান সহজ কাজ ছিল। কিন্তু modern সেল ফোনে
ইনটারনেট যুক্ত কাজ করতে হচ্ছে আর সেটা বর্তমানের নেটওয়ার্ক করতে পারছে না।
তাছাড়া
যোগযোগ মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা তাই মানুষ সর্বদা দ্রুততম উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার
জন্য (সংগ্রাম)
গবেষনা করছে। LTE প্রযুক্তি তারই ফলশ্রুতি। LTE প্রযুক্তিই
4G, এটা খুবই উন্নত।
ভারতের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি ভারতী
এয়ারটেল 4G LTE কোলকাতায় থেকেই এপ্রিলের 10 তারিখ launch করেছে। এটা প্রকৃত পক্ষে
Broadband Wireless Access Service (BWA) 4G
প্রযুক্তি, 3G প্রযুক্তির থেকে 5 গুন দ্রুত। এটা mobile TV ও video
conferencing এ বিশাল পরিবর্তন আনবে। এরপর ব্যাঙ্গালোরে ৭ই মে, ১২ launch করেছে।
পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র সারকেলেও চালু করবে। এর জন্য খরচ হবে 3314.36 কোটি টাকা। Core ZTE 4G সারভিস পরিচালনা
করবে। বর্তমানে কথা বলা যাবে না, ডাটা লেন দেন করা যাবে।
ব্যাঙ্গালোর cutting-edge
4G LTE প্রযুক্তি পাবে। 4G LTE (Long Term Evolution) 40 Mbps স্পিড দিতে পারবে। যদিও
Airtel Pan-India BWA spectrum holder তবুও 4G চালু করতে অগ্রনি ভুমিকা নিয়েছে।
বর্তমানে LTE সমৃদ্ধ মোবাইল ফোন ভারতে পাওয়া যায় না, তাই USB dongle এর উপর নির্ভর
করতে হবে। 4G ভয়েস ও text পরিসেবার জন্য কোলকাতায় লাইসেন্স পায়নি।
এটা এখন সহজেই বলা যায় যে যোগাযোগের ভবিষ্যৎ
মোবাইল generation এর হাতে এবং মোবাইলের বৈপ্লবিক উন্নতির ফলে সারা বিশ্ব হাতের
মুঠোয় চলে আসছে। মোবাইল 1G থেকে 4G তে বিবর্তিত হয়েছে। পরে 5Gও আসবে। নীচে 1G থেকে
3G মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।
DONGLE
1G
ও 2G mobile network-1G হচ্ছে 1st Generation, এটা analog system। 2nd Generation ডিজিট্যাল ব্যবস্থা।
GSM (Global System for Mobile) ও CDMA (Code Division Multiple Access) 2nd
generation মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এগুলো
ধীর গতিতে ভয়েস পাঠায়। GSM 1990এ চালু হয়েছে, পরে আসে CDMA। 2G narrow band ডিজিট্যাল ভিত্তিক।
2G তে সিগন্যালের ডিজিট্যাল ট্রান্সমিসন ডাটা ট্রান্সমিসনের জটিলতা কমিয়েছে এবং ভয়েস
কোয়ালিটির প্রচুর উন্নতি হয়েছে। 2G নেটওয়ার্কের semi global রোমিং সিস্টেম আছে যাতে সারা বিশ্বে যোগাযোগ করা যায়, শুধু একটা দেশে
সীমাবদ্ধ নয়। 2nd জেনারেসন সিমিত ডাটা পাঠায় 9.6 kbps থেকে
19.2 kbps স্পিডে। এতে কেবল SMS পাঠান যায় ও কথা বলা যায়। সাধারন 2G নেটওয়ার্ক রেঞ্জ
800/900 Mhz বা 1800/1900 MHz স্পেকট্রাম। 2G র Bandwidth 30-200 Khz।
2.5G- 2G ও 3Gর মাঝখানে 2.5G (GPRS) এসেছে। 2G পর প্রযুক্তি উন্নত করা হয় এবং 2.5G GPRS
(General Pocket Radio Service) আসে। এতে বেশী bandwidth, packet routing ও multimedia প্রচলন করা
হয় এবং সারকিট সুইচিং ভয়েস ও প্যাকেট
সুইচিং ডাটা পাঠানর ব্যবহার করা হয়। স্পিড 56 kbps। 2.5G তে রেডিও
ওয়েভের পরিমান অনেক কম প্রয়োজন হয়। এটা মোবাইল
স্ট্রাকচার বদলে দিয়েছে ও মোবাইল ফোন খুবই ছোট হয়েছে। তবে খুব একটা ঊন্নতি হয়নি। সারা বিশ্বে কথা বলা যায়। ই-মেল, ওয়েব পেজ
ব্রাউসিং ও ভিডিও তখনও পাওয়া যায় নি। 3G তে
বিবর্তনের জন্য এটা উল্লখযোগ্য পদক্ষেপ।
GPRS এর বিবর্তন ঘটে EDGEএ। স্পিড 236.8
kbps। 3GPP এটাকে স্ট্যণ্ডার্ডাইজ করেছে। এটা GSM/GPRS ক্ষমতা তিনগুন বৃদ্ধি করছে।
EDGE network থেকে UMTS প্রবর্তনকে pure 3G বলে।
3G –এক গুচ্ছ প্রযুক্তি আছে যা 3Gর মধ্যে পড়ে
যেমন WCDMA, EV-DOও HSPA ইত্যাদি। 3G হচ্ছে 3rd generation
wireless মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা জাপানে 2001এ লঞ্চ করে। 2G ও 2.5Gর অভাব দুর করার জন্য 3G আবিষ্কার করা হয়েছে।
এটা ওয়াইড ব্যাণ্ড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। 2Gর narrow ব্যাণ্ড থেকে অনেক ভাল।
ওয়াইড ব্যাণ্ড ভয়েস কোয়ালিটির উন্নতি করছে। 3rd জেনারেশন মোবাইলে
ইনটারনেট পাওয়া যায় স্পিড রেঞ্জ 384 Mbps থেকে 2Mbps পাওয়া যায়। 3Gর ব্যাণ্ডউইডথ
1.6GHz থেকে 2.5 GHz। ডাটা
পাঠান যায়, ভয়েসে কথা বলা যায়, ভিডিও কলিং করা যায়। ফাইল পাঠান ও ইনটারেট সার্ফিং
করা যায়। ভাল স্পিডে ডাউনলোড করা যায়। এ ছাড়াও প্রযুক্তি যেমন ভিডিও কনফারেন্সিং,
ভিডিও কলিং ও মোবাইলে অনলাইন টিভি দেখা যায়। হাই ডেফিনিশন ভিডিও দেখা। GPRSএ ই-মেল
দেখতে প্রচুর সময় লাগে। 3G তে গ্লোব্যাল রোমিং হয়। যারা বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে বেড়ায়
এবং যাদের সব সময় ইনটারনেট দরকার তাদের পক্ষে 3G ভাল। তবে খরচ বেশী। আপনাকে 3Gর
উপযুক্ত (compatible) মোবাইল ফোন কিনতে হয়, যার দাম 2Gর জন্য ফোনের থেকে বেশী। Live TV, মুভি ডাউনলোড, দ্রুত আপলোড ও
ডাউনলোড,
video streaming ও online gaming ও ভিডিও
চ্যাটিং করা যায়। হাইস্পিড
ইনটারেট সার্ফিং, ভিডিও চ্যাটিং 3G র সম্পদ।
(কম্পুউটার
জগৎ এপ্রিল ’09 সংখ্যায় ‘3G Mobile’ দেখুন)।
বেশী খরচের জন্য ভারতে 3G র ব্যাপক প্রচলন হয়নি। Airtel 17 May, 12 তে 3G
নেটওয়র্কের রেট 70% কমিয়েছে। গত বছর ভারতে 3G চালু হওয়ার পর গ্রাহক অনেক কম।
Volume ভিত্তিক ব্রাউসিং রেট কমবে 10p/10kb থেকে 3p/10Kb 3Gর ননপ্যাক ইউসারদের।
What is after 3G? যদিও 3G
নেটওয়ার্ক সমস্যার এবং অনেক ভাল বৈশিষ্ট পাওয়া যায়। কিন্তু সবাই 4G র দিকে তাকিয়ে
আছে। 4G তে অনেক value added সারভিস পাওয় যাবে। 3G তে যেসব ফিচার পাওয়া যায় 4G তেও
সব পাওয়া যাবে। এসব ছাড়াও মাল্টিমিডিয়া, নিউস পেপার ইত্যাদি পাওয়া যাবে। নেটওয়ার্কে
4G র স্পিড 3G র তুলনায় অনেক বেশী হবে। স্পিড রেঞ্জ হবে 100Mbps ও 1Gbps হবে স্থীর
অবস্থায়।
4G LTE:- Telecommunicationএ
4G (4th generation) cell phone মোবাইল যোগাযোগের স্ট্যাণ্ডার্ড। এটা
3G র বংশীয়। 2G তে
ডিজিট্যাল কথা বলা যায়, টেক্সট মেসেজ পাঠান যায়। 3G স্মার্টফোন দিয়েছে এবং ওয়েব ব্রাউসিং
ও বিভিন্ন apps দিয়েছে। 4G USB অয়েরলেস মডেম
সহ ল্যাপটপে, স্মার্টফোন ও অন্য মোবাইল ডিভাইসে মোবাইল আল্ট্রা ব্রডব্যাণ্ড ইনটারনেট
অ্যাকসেস দেবে। 4Gতে ব্যবসার কাজ অয়েরলেসে লাইটিং স্পিডে করা যাবে। 4G UMTSকে আপগ্রেড
করে প্রচলন করা হয়। UMTS এটা স্ট্যাণ্ডার্ড, 3GPP develop করেছে ও ওদের Release 8 এ
নির্দিষ্ট করেছে ও Release 9 কিছুটা উন্নত করেছে। পরে 8 Release বাতিল করেছে।
LTE কেই
4G অয়েরলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়। LTE (Long Term Evolution) হচ্ছে Third
Generation Pertnership Project। 3GPP আমাদের খুব ভাল প্রযুক্তি দিয়েছে। এটা সুপরিচিত
GSM, GPRS, EDGE, UMTS, HSPA এবং বর্তমানে LTE ও LTE–A দিয়েছে। 3GPP র বিবর্তনের স্ট্যণ্ডার্ড:
GSM (Global System for Mobile), GPRS (General pocket Radio Service), EDGE( Enhanced Data rates for GSM Evolution),
UMTS (Universal Mobile Communication System),
HSPA (High Speed Packet Access), HSPA+ এবং অধুনা LTE Long Term
Evolution) ও LTE-A।
3GPPর UMTS hybrid circuit switched/ packet switched core নেটওয়ার্ককে
packet-only core নেটওয়ার্কে পরিনত করা হয় যা উচ্চতর ডাটা বা তথ্যের রেট দেয় ও বেশী
throughput বাড়ায়, দেরী বা latency কমায় বা দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করে, যোগাযোগের খরচ
কমায় ও দক্ষতা বাড়ায়। LTE রেডিও ওয়েভ প্রযুক্তিতে বিকশিত হয়েছে। এটা স্পিড
বাড়ান ছাড়াও একই ব্যাণ্ডউইডথের মাধ্যমে তথ্যের পরিমান বেশী পাঠায় ফলে দাম কমে। স্পেকট্রাম channel bandwidth 1.25 MHz থেকে 20 MHzর মধ্যে যা পাওয়া যায় তা
দক্ষভাবে ব্যবহার করতে পারে।
LTE প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ডাটা রেট দেবে 100 Mbps ডাউনলোডে 50 Mbps আপলোডে 50
km সেলের রেডিয়াসের মধ্যে। একটা সেলের মধ্যে 200 থেকে 400 গ্রাহক ব্যবহার করতে পারবে।
LTE 4G র চ্যানেল
ব্যাণ্ডউইডথ 1.4 MHz থেকে 20 MHz আপলিঙ্ক ও ডাউন লিঙ্কে। এর ছয়টা আলাদা ব্যাণ্ডউইডথ
আছে। এগুলো হচ্ছে 1.4 MHZ, 3MHZ, 5 MHZ, 10 MHz, 15 MHz ও 20 MHz। এছাড়া
subcarrier গুলো একটা থেকে আর একটা 15KHz ব্যবধানে থাকে। LTE UMTS প্রযুক্তির serial
upgrade এবং 1800 MHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাণ্ড ব্যবহার করে। বেশী ফ্রিকোয়েন্সি অনেক রেঞ্জ
কমায় এবং সিগন্যাল বেশী দুর (penetration) যেতে পারে না। Veryzone ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাণ্ড
700 Mhz (ফ্রিকোয়েন্সি 746-787 Mhz) ব্যবহার করে। ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাণ্ড 900Mhzও ব্যবহার
করে।
Key Parameters
(TABLE)
3G 4G
Frequency Band 1.8-2.5 GHz 2-8 Ghz
Bandwidth 5-20 MHz 5-20 MHz
Data Rate Upto 2 Mbps Upto 20 Mbps
Access W-CDMA MC-CDMA or OFDM (TDMA)
Switching circuit/packet packet
LTE মোবিলিটি স্পিড 360 kmph পর্য্যন্ত সাপোর্ট করে
ইনটারসেল সফ্ট হ্যাণ্ডওভারে। 4G LTE বলেছে 120 Kmph (গাড়ীর স্পিড) পর্য্যন্ত মোবিলিটি
স্পিডে খুব ভালভাবে কাজ করতে পারবে। 4G LTE স্থির অবস্থায় (0 kmph), হেঁটে চলার সময়
(10 kmph), গাড়ির চলার স্পিডে (120kmph) ও গাড়ী অনেক বেশী স্পিড (350 kmph) পর্যন্ত
সাপোর্ট করে। লক্ষ স্থীর করা আছে যাতে 350 kmph থেকে 500 kmph পর্য্যন্ত স্পিডে কাজ
করতে পারে।
LTE যেহেতু 3G প্রযুক্তি
থেকে বিবর্তিত হয়েছে, অপারেটর বর্তমানে থাকা 3G প্রযুক্তির পরিকাঠামো LTEকে সাপোর্ট
করতে আপগ্রেড করতে পারে, যা অপারেটরের পক্ষে দক্ষ ও সস্তা হবে।
UMTS 3G প্রযুক্তির
পরবর্তি বংশধর যা WCDMA, HSDPA, HSUPA, ও HSPA ভিত্তিক। LTE হচ্ছে স্বাভাবিক GSM /UMTS carrier এর upgrade path। LTE UMTS এর
পরিবর্ত নয় বরং UMTS এর আধুনিক সংস্করন।
বলা হচ্ছে 4G LTE ভারতে দ্রুততম স্পিডে ইনটারনেট
access দেবে। 3G 4Gর থেকে
কতটা ভাল? 4Gর frequency band 2GHz থেকে 8 GHz সেখানে 3Gর 1.8GHz থেকে 2.5 GHz। এর
ব্যাণ্ডউইডথ 3Gর মতই যেমন 5 থেকে 20 MHz এবং 3G র data rate 2Mbps। 4Gর স্পিড 20
Mbps বা তার বেশী। 4G আলট্রা হাইস্পিড দেবে কিন্তু ডাটা রেটের দাম বেশী হলে প্রসার
কম হবে। অনেকেই দাম কমার জন্য অপেক্ষা করবে। বর্তমানে Airtell 40 Mbps স্পিড দেবে বলেছে। 4G
নেটওয়ার্কিং হচ্ছে All-IP network
(access ও core network)।
Verizon Wireless উঃ আমেরিকায় 2010 তে ব্যপক আকারে LTE নেটওয়ার্ক চালু করেছে।
Japanও করবে বা হয়তো LTE তে migrate করবে। সুতরাং LTE সত্যিকারের global 4G LTE ফোন
স্ট্যাণ্ডার্ড। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাণ্ড থাকার জন্য মাল্টি ব্যাণ্ড
ফোন LTEর জন্য ব্যবহার করতে হবে। Verizone wireless আমেরিকাতে
4G LTE চালু করেছে। Sprint Wimax থেকে বার হয়ে আসছে এবং LTE বসাবে। AT & Tও
LTE ব্যবহার করছে। ওরা 700 MHz spectrum ব্যবহার করছে। প্রায়ই ডাউনলোড স্পিড হয় 15
Mbps এবং আপলোডে 10 Mbps।
সব
4G একই নয়। Verizone 4G LTE সবচেয়ে ভাল। Verizon এ বছর 2012 সালে ব্যাপক হারে 4G
LTE প্রসার ঘটাবে এবং 4G mobile set বাজারে আনবে। বছর শেষে প্রায় 400 মার্কেটে 4G আনবে।
এছাড়া AT & T 56 টা মার্কেটে আনবে। AT & T প্রায় গ্রাহকদের অনুরোধ করছে 2G
থেকে 3G বা 4G তে আপগ্রেড করতে।
2012 সালের শেষে
2/3 অংশ আমেরিকা বাসীকে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি 4G LTE নেটওয়ার্ক কভার করবে এবং
400 মার্কেটে 260 million লোককে কভার করবে।
4G LTE নেটওয়ার্ক
4G সমৃদ্ধ স্মার্টফোন laptop, notebook, মডেম ও hotspot কে সাপোর্ট করবে। 4G দিয়ে
ইনটারনেট সার্ফিং ও দ্রুত ডাউন লোড করা যাবে। ভিডিও কলিং, ভিডিও কনফারে্সিং ও অন লাইন
টিভি দেখা যাবে। 1 মিনিটে টাইটানিক সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে। এটা লাইটনিং স্পিডের
সুচনা করবে। 3G র 10গুন স্পিড হবে। বর্তমানে
বহুল প্রচলিত 2G থেকে 320 গুন স্পিড বেশী হবে। 2G এর স্পিড 128Kbps সেখান 4Gর
40Mbps এবং সবচেয়ে বেশি স্পিড হবে 100
Mbps।
4G
LTE কীভাবে কাজ করে:- LTE প্রযুক্তি খুবই উন্নত। LTE রেডিও ওয়েভে কাজ করে। 4G LTEতে Base station (BS) অ্যান্টিনা
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিগন্যাল transmit ও রিসিভ
করে অর্থাৎ সিগন্যাল মোবাইলকে পাঠায় ও মোবাইল
থেকে গ্রহন করে। Base station অ্যান্টিনা একটা
মোবাইল ফোনকে বাকি সমস্ত মোবাইল ও ল্যাণ্ডলাইন এর সঙ্গে কানেক্ট করে। Base station কম পাওয়ারের রেডিও ট্রান্সমিটার
এবং যে এলাকায় মোবাইল কানেকশন দিতে হবে সেখানে rooftop বা মাস্টে বসান হয়। এলাকা গুলোকে cell বলে। সিমলেস কানেকসন পেতে
cell গুলো যেন ওভারল্যাপ করে। একটা BS খুব কম সংখ্যক মোবাইলে কানেকশন দিতে পারে একসঙ্গে।
আউটডোর BS এর পাওয়ার 10w থেকে 4ow হয়। সেখানে TV ট্রান্সমিটারের 1000 গুন বেশী হয়।
পাবলিক এরিয়াতে রেডিও ওয়েভ exposer সেফটি লিমিট থেকে কম হবে। দুরত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
রেডিও ইনটেনসিটি কম হয়। কাস্টমার বাড়লে Base station এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
Long Term Evolution (LTE), কখনও সুপার 3G বলে, যেটা
Third Generation Pertnership Project (3GPP) Universal Mobile Telecommunication
System (UMTS) থেকে ডেভেলাপ করেছে। যে কোন সেলুলার ব্যবস্থায় অনেক
সংখ্যক (multiple) ইউসার যাতে একসঙ্গে systemএ ঢুকতে (access) পারে ও এক সঙ্গে ব্যবহার
করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা থাকতে হবে। নানা রকমের মাল্টিপল access scheme ব্যবহার
হয়। যেমন TDMA, CDMA বা OFDMA ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে প্রধান উপায় যাতে মোবাইল ব্যবস্থায়
রেডিও প্রযুক্তি কাজ করে।
OFDMA (Ortogonal Frquency Division Multiple
Access) একটা মালিপল অ্যকসেস প্রযুক্তি LTEতে গ্রহন করা হয়েছে কারন এটা broadband বা
বেশী ডাটা ট্রান্সমিশনে উপযুক্ত। OFDM হচ্ছে
Ortogonal Frquency Division Multiplexing একটা মডিউলেসন টেকনিক যাতে রেডিও ওয়েভে বেশী
পরিমানে ডিজিট্যাল ডাটা রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে ট্রান্সমিট করা হয়। এই পদ্ধতিতে রেডিও
সিগন্যালকে অনেক সংখ্যায় কাছাকাছি থাকা (closely spaced) অরথোগন্যাল সাব-ক্যারিয়ারে
ভাঙ্গা হয় যেগুলো ডাটা বহন করে। তারপর একসঙ্গে
বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে রিসিভারে ট্রান্সমিট করা হয়। সাব-ক্যারিয়ার ফ্রিকোয়েন্সি
অরথোগন্যাল হওয়ার জন্য OFDM সিগন্যাল ট্রান্সমিসনে চ্যনেলের মধ্যে crosstalk এর পরিমান
কমায় বা interferece কমায়। Spread
spectrum রেডিও প্রযুক্তি যা 3Gতে প্রয়োগ করা হয় 4G তা করা হয় না। তার বদলে OFDMA মাল্টি-ক্যারিয়ার
ট্রান্সমিসন ব্যবহার করা হয়। OFDMA হচ্ছে মাল্টি-ইউসার
ভারসন OFDM ডিজিট্যাল মডিউলেশন স্কিম ও division multiple access কিন্তু সময়ের মত TDMAও নয় বা কোডে ভাগ করা CDMAও নয়, এটা frequency domain equalization পদ্ধতি।
TDMA একটা চ্যানেলে ডাটা পাঠায় সময় ভাগ করে তিনটা স্লটে। CDMAও একটা চ্যানেলে ডাটা
পাঠায় রিসিভারকে কোড দ্বারা চিহ্নিত করে। সেখানে বেশী কার্যকারিতার জন্য OFDMAএ ডাটা
প্যকেট চ্যানেলকে narrow ব্যাণ্ডে ভাগ করে পাঠায় । OFDM multiple access scheme সেলুলার প্রযুক্তির
জন্য দুটো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, একটা আপলিঙ্ক ও একটা ডাউন লিঙ্কের জন্য। ডাউন লিঙ্কে BS যা সিগল্যাল
পাঠায় মোবাইল তা গ্রহন করে এবং ঐ মোবাইলের জন্য সমস্ত ডাটা সংগ্রহ করে। আপলিঙ্কে ডাটার
উপর নির্ভর করে একটা বা বেশী ক্যারিয়ার প্রত্যেক হ্যাণ্ডসেটকে বরাদ্দ করা হয় এভাবে
সেলুলার নেটওয়ার্ক ডাটা পাঠান ও রিসিভ করা কন্ট্রোল করে। OFDMA MIMO spectralএর দক্ষতা আরও বেশী। spectral দক্ষতা, spectrum দক্ষতা বা
ব্যাণ্ডউইডথ দক্ষতা হচ্ছে ইনফরমেশন রেট যা কোন ব্যাণ্ডউইডথে নির্দিষ্ট যোগাযোগ ব্যাবস্থায়
পাঠান যায়। এটা অনেক বেশী বিট রেট পাঠাতে পারে যদিও অনেক বেশী মাল্টি-পাথ রেডিও সিগন্যাল
(echo) যায়।
Antenna
উন্নত
প্রযুক্তি MIMOতে ট্রান্সমিটার ও রিসিভারে
অনেকগুলো অ্যান্টিনা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ট্রান্সমিটার অনেক রিসিভারে আলাদা
স্ট্রীম পাঠান হয়। MIMO স্ক্যাটারিং অবস্থায় বেশী Throughput বাড়াতে পারে। বেশী
ছড়ান (scattering) সিগন্যাল পরিবেশে প্রতিফলিত হয় ও বিভিন্ন ট্রান্সমিটার (Tx)
থেকে বহুপথে যায় ও ইউসার ইকিউপমেন্টে (UE) পোঁছায় বিভিন্ন সময়ে। বহুপথে ছড়ান
সিগন্যাল ও Signal to Noise Ratio (SNR) কে কাজে লাগিয়ে স্পেকক্ট্রাম না বাড়িয়ে
বিশাল throughput পাওয়া যায়। যেখানে SNR আগের থেকেই বেশী সেখানে throughput
পেতে MIMO technique spatial multiplexing ব্যবহার
করে। spatial multiplexingএ বেস ডাটা রেটকে মাল্টিপ্লাই করে ট্রান্সমিট বা রিসিভ
অ্যান্টিনার গুনিতকে। সংখ্যায় ট্রান্সমিট
বা রিসিভ অ্যান্টিনা বাড়িয়ে দর্বল (fading)
চ্যানেলে ডাটা স্পীড বাড়ান যায়। এটাকে ট্রান্সমিট বা রিসিভ ভাইভারসিটি বলে। এই
ডাটা স্ট্রীম ইউসার ইকুপমেন্ট (UE) আলাদভাবে পুনর্গঠন করে। দুটো স্ট্রিমের সিগন্যাল
একই সেক্টারে একই সময়ে ও একই ফ্রিকোয়েন্সিতে পাঠিয়ে throughput
বাড়ান হয়। 100 Mbps পর্য্যন্ত ডাউনলোড রেট দিতে পারে
ও আপলোড রেট 50 Mbpsএ দক্ষভাবে ডাটা পাঠাতে পারবে।
রেডিওতে
MIMO তে ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারে একের বেশী অ্যান্টিনা ব্যবহার করা হয় যোগাযোগের
দক্ষতা বাড়াতে একে বেশী অ্যান্টিনা------।
(ক্রমশ)
No comments:
Post a Comment